ঢাকা: জীবনের দুঃখ-কষ্ট আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপরও মারাত্মক প্রভাব ফেলে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘ সময় ধরে দুঃখের মধ্যে থাকলে তা ঘুমের সমস্যা, ক্লান্তি, দুশ্চিন্তা, এবং আরও বেশ কিছু শারীরিক জটিলতা তৈরি করতে পারে। এটি শুধু মনকে ভারাক্রান্ত করে না, বরং শরীরের অভ্যন্তরীণ কার্যকলাপকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে।
দুঃখের কারণে যে সব শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে
ঘুমের সমস্যা: দুঃখের কারণে অনেকের ঘুমের অভ্যাস এলোমেলো হয়ে যায়। কেউ কেউ অনিদ্রায় ভোগেন, আবার কেউ অতিরিক্ত ঘুমান। এ ধরনের পরিস্থিতিতে ঘুমের একটি নির্দিষ্ট সময়সূচি বজায় রাখা এবং ঘুমানোর আগে আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি করা জরুরি।
ক্লান্তি ও অবসন্নতা: প্রচণ্ড দুঃখের মধ্যে থাকলে মনের শক্তি কমে যায়, যার ফলে শরীরে ক্লান্তি ও অবসন্নতা অনুভূত হয়। এই সময় শরীর সুস্থ রাখতে ঠিকঠাক খাওয়াদাওয়া করা এবং হালকা শরীরচর্চা করা উচিত। বন্ধু ও স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখলে অবসন্নতা কাটিয়ে ওঠা সহজ হয়।
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা: দীর্ঘমেয়াদি দুশ্চিন্তা দৈনন্দিন কাজে বাধা সৃষ্টি করে এবং স্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। এটি অবহেলা করা উচিত নয়। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।
স্ট্রেস হরমোনের আধিক্য: মানসিক চাপের সময় শরীরে কর্টিসল নামক স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। এই হরমোনের আধিক্য মাথাব্যথা, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এবং হাড় ক্ষয়ের মতো বিভিন্ন স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
পেটের সমস্যা: দুঃখ বা অবসাদের কারণে খাওয়ার সময়সূচি এলোমেলো হলে অ্যাসিডিটি বা পেটের অন্যান্য সমস্যা হতে পারে। কর্টিসল হরমোন বেড়ে গেলে আলসার হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।
হৃৎপিণ্ডের ওপর প্রভাব: তীব্র মানসিক কষ্ট পেলে হার্ট অ্যাটাকের মতো উপসর্গ, যেমন বুকে ব্যথা বা শ্বাসকষ্ট হতে পারে। অতিরিক্ত দুঃখে থাকার কারণে যাদের ঘুমের ঘাটতি হয়, তাদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
সুতরাং, দুঃখ পেলেও সুস্থ থাকতে হলে জীবনের স্বাভাবিক গতি বজায় রাখা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী চিকিৎসা ও মানসিক সমর্থন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
0 Comments
এখানে প্রকাশিত সংবাদ গুলো ইন্টারনেট, আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক এবং বিভিন্ন উৎস থেকে সংগ্রহ করা হয়। কারো অধিকার এবং আত্মসম্মান কে ক্ষুন্ন করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়।