ঢাকা: মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত কোনো ব্যক্তি জনপ্রতিনিধি বা সরকারি কোনো পদে থাকতে পারবেন না। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
প্রেস সচিব বলেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদের সভায় ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্ট ১৯৭৩-এর ২৩ ধারায় একটি নতুন উপধারা যুক্ত করা হয়েছে। এই নতুন ধারা অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে উক্ত আইনের ৯(১) ধারার অধীনে আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র দাখিল করা হলে, তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়া বা বহাল থাকার অযোগ্য হবেন।’
একইভাবে, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা স্থানীয় সরকার পরিষদের সদস্য, কমিশনার, চেয়ারম্যান, মেয়র বা প্রশাসক হিসেবে নির্বাচিত হওয়া বা দায়িত্ব পালনে অযোগ্য হবেন। পাশাপাশি, প্রজাতন্ত্রের চাকরিতে নিয়োগ পাওয়া বা অন্য কোনো সরকারি পদেও থাকতে পারবেন না।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, বৈঠকে ‘বেসরকারি অংশগ্রহণে নবায়নযোগ্য জ্বালানিনির্ভর বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন নীতিমালা, ২০২৫’ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক অ্যান্ড লাইসেন্সিং পলিসি ২০২৫’ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই নীতিমালা সম্পর্কে বিস্তারিত জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি বলেন, নতুন এই নীতিমালার ফলে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য হ্রাস পাবে এবং টেলিযোগাযোগ খাতে মানসম্মত সেবা নিশ্চিত হবে। এর মাধ্যমে ভয়েস কল এবং ডেটার খরচ সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসার একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা শুরু হয়েছে।

0 Comments
এখানে প্রকাশিত সংবাদ গুলো ইন্টারনেট, আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক এবং বিভিন্ন উৎস থেকে সংগ্রহ করা হয়। কারো অধিকার এবং আত্মসম্মান কে ক্ষুন্ন করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়।